
তাসকিন-সোহানের শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছে সব।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দুই দলের জন্যই ম্যাচটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতের কাছে বৃষ্টি আইনে ৫ রানের পরাজয়ে সেমির স্বপ্ন ঝুলে গেলো সাকিব আল হাসানদের। আর সেমির পথে একধাপ এগিয়ে গেলো ভারতীয় দল।
গ্রুপ দুইয়ে এই জয়ের পর ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে ভারত। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ ম্যাচে বাংলাদেশ ৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে।
বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে ১৫১ রানের নতুন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
শুরুতে ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যের জবাবে বাংলাদেশ যেভাবে সূচনা করেছিল। তাতে জয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। লিটন দাসের বিস্ফোরক ফিফটিতে ৬ ওভারে উঠে ৬০ রান। সম্ভাবনা উবে যেতেও সময় লাগেনি বৃষ্টি হানার পর। অনেকক্ষণ খেলা বন্ধ থাকলে ওভার কমে ১৬ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫১। বিরতির পর লিটন রানআউট হতেই জয় থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে থাকে লাল-সবুজরা। ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ, সাকিব, ইয়াসির ও মোসাদ্দেক।
মোসাদ্দেক যখন সাজঘরে ফেরেন তখনও মনে হচ্ছিল জয় বুঝি আর সম্ভব নয়। ১৮ বলে আর ৪৩ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নুরুল হাসান-তাসকিন চার-ছক্কা মেরে শেষ ওভারে সমীকরণটা ৬ বলে ২০ রানে নামিয়ে এনেছিলেন। এই ওভারে একটি চার, একটি ছয় মেরে টাই করারও সম্ভাবনা সোহান তৈরি করেছিলেন। শেষ বলে ১ রান আসায় ৫ রানের হার নিয়েই বাংলাদেশকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। শেষ দিকে কার্যকরী ইনিংস উপহার দেওয়া সোহান ১৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ৭ বলে তাসকিন অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে।
ভারতের হয়ে আরশদ্বীপ সিং ৩৮ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। হার্দিক পান্ডিয়াও ২৮ রানে নেন দুটি। ২৫ রানে একটি শিকার মোহাম্মদ সামির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ২০ ওভারে ১৮৪/৬ (রাহুল ৫০, কোহলি ৬৪*, সূর্যকুমার ৩০; হাসান ৪৭/৩, সাকিব ৩৩/২)
বৃষ্টি আইনে নতুন লক্ষ্য: ১৬ ওভারে ১৫১
বাংলাদেশ: ৬/১৪৫ (লিটন দাস ৬০, নাজমুল ২১, নুরুল হাসান ২৫*, তাসকিন ১২*)
ফল: ভারত বৃষ্টি আইনে ৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা বিরাট কোহলি।