
আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে শঙ্কা ছিল বৃষ্টির। শুরুর পর অবশ্য আলো ঝলমলে দিনেই ম্যাচটা গড়িয়েছে। আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো লঙ্কানরা। আর শেষ চারের দৌড় থেকে আফগানিস্তান ছিটকে গেলো।
ইংল্যান্ডের কাছে একটি পরাজয়ের পর আফগানদের দুই ম্যাচে ভেসে যায় বৃষ্টি। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল টুর্নামেন্টে টিকে থাকার। সেই লড়াইয়ে আফগানদের ১৪৪ রানে আটকে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৯ বল হাতে রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছুঁয়েছে শানাকার দল।
অবশ্য ১৪৫ রানের লক্ষ্য খুব বড় চ্যালেঞ্জ ছিল না লঙ্কানদের সামনে। বিশ্বমানের স্পিনার থাকার পরেও আফগানরা প্রথম দশ ওভারে মাত্র দুটি উইকেট নিতে পেরেছে। ১২ রানে পাথুম নিসাঙ্কার উইকেট নেন মুজিব। তার পর ধরে খেলতে থাকা কুশল মেন্ডিসেরও (২৫) বিদায় ঘটে অষ্টম ওভারে। অপরপ্রান্তে থাকা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাই মূলত লঙ্কানদের জয়ে তারপর বড় অবদান রেখেছেন। ৪২ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এই সময়ে চারিথ আসালাঙ্কা (১৯) ও ভানুকা রাজাপাকশেকে (১৮) ফেরানো গেলেও ডি সিলভার সামনে বাধা হতে পারেনি আফগান বোলাররা। ৪ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা তার ব্যাটে চড়েই ১৮.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করেছে।
আফগানদের হয়ে ২৪ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার মুজিব উর রহমান। ৩১ রানে দুটি নেন রশিদ খান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সম্ভাবনাময় ছিল আফগানদের। অন্তত পাওয়ার প্লের সুবিধাটা ঠিকই কাজে লাগিয়েছে। ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে তুলতে পারে ৪২ রান। কুমারা সপ্তম ওভারে গুরবাজের (২৮) উইকেট নিতেই ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। ১১তম ওভারে ৬৮ রানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার উসমান গনি (২৭)। দলীয় ৯০ রানে ইবরাহিম জাদরান (২২) ফেরার পর প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি বাকিরা। গড়তে পারেননি ভালো জুটি। লঙ্কান বোলিংয়ে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে থেমেছে আফগানিস্তান।
লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানদের অল্পতে বেঁধে রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তাই ম্যাচসেরাও তিনি। ৩০ রানে দুটি নেন লাহিরু কুমারাও। একটি করে নিয়েছেন কাসুন রাজিথা ও ধনাঞ্জায়া ডি সিলভা।